এই পৃষ্ঠাটিও পাওয়া যায়: English Español Français Portugués
নারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের জন্য অনলাইনে এবং অফলাইনে কোনোরকম সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই তাদের ভাবনা এবং মতামত সমানভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম হতে হবে। এই সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয়ের কারণে তারা সর্বজনীন বিতর্ক থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।
অনেক সময়ই দেখা যায় যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার উন্নতির প্রস্তাবগুলো ‘সকলের প্রয়োজনীয়তা ও সমস্যা একই’ এরকম ধারণার ভিত্তিতে নির্ধারিত। কিন্তু ARTICLE 19-এ দেখা যায় যে নারী সাংবাদিকরা আলাদাভাবে লিঙ্গভিত্তিক ঝুঁকির সম্মুখীন হয় – যার মধ্যে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি থেকে শুরু করে অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি এবং শারীরিক আক্রমণ। এই ঝুঁকিগুলো অনুধাবন করা এবং কমানোর জন্য একটি লিঙ্গভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
নারী সাংবাদিকরা কোনো সমজাতীয় গোষ্ঠী নয়। জাতি, জাতীয়তা, যৌন অভিমুখীতা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ঝুঁকি এবং নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। যারা ইতোমধ্যেই কোনো না কোনো রূপে নিপীড়নের শিকার তারা সাধারণত বৃহত্তর ঝুঁকি এবং কঠোরতর নির্যাতনের সম্মুখীন হন।
এইরকম দৃষ্টিভঙ্গি নারীর দৈনন্দিন জীবনে, তার সমস্ত বৈচিত্র্যের মধ্যে আমাদের উপস্থিত থাকার তাড়না দেয়। এবং কাঠামোগত অসমতার মুখে নারীদের সৃজনশীলতা ও সহনশীলতা থেকে আমাদের শিক্ষা পেতে সাহায্য করে।
সব জায়গায় সব নারী সাংবাদিকের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য একটি ইন্টারসেকশনাল ফেমিনিস্ট পন্থা প্রয়োজন যা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এসব নিপীড়নের ব্যাখ্যা দেয়।
ARTICLE 19-এর নতুন প্রকল্প, সমানভাবে নিরাপদ: সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি নারীবাদী পন্থার দিকে–তে রয়েছে নতুন গবেষণা, 6টি দেশের কেস স্টাডি, ব্যবহারিক নির্দেশিকা, এবং অ্যাডভোকেসি টুল। এগুলো সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের তাদের কাজে একটি ইন্টারসেকশনাল ফেমিনিস্ট পন্থা প্রয়োগ করতে সহায়তা করবে।
প্রকৃত তথ্য
অর্ধেক থেকে দুই-তৃতীয়াংশ নারী সাংবাদিকরা লিঙ্গভিত্তিক হয়রানি ও অবমাননার শিকার হয়েছেন – আর প্রান্তিক স্তরের নারীর আরো বেশি শিকার হন।
এই আক্রমণ ও বৈষম্যের জন্য দায়ী ব্যক্তিরা বহুবিধ ও বিবিধ চরিত্রের হয় (সরকার থেকে সূত্র, সহকর্মী ও পরিবারের সদস্য) এবং তাদেরকে খুব কম সময়ই জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয়।
একাধিক ধরনের বৈষম্যের মুখোমুখি হওয়া সহ সকল নারী সাংবাদিকের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য একটি ইন্টারসেকশনাল ফেমিনিস্ট পন্থার প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী – আমাদের নতুন গবেষণা অনুযায়ী – নারী সাংবাদিকরা তাদের জন্য কার্যকর সমাধান তৈরি করছেন, যা থেকে আমরা শিখে পুনরাবৃত্তি করতে পারি।
আমাদের গবেষণায় যুক্ত নারীদের বক্তব্য
সংস্থানসমূহ
নতুন বিশ্বব্যাপী গবেষণা: আমাদের নতুন গবেষণায় বিশ্বব্যাপী উদাহরণ ও ইতিবাচক পরিবর্তনের সুপারিশসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নারীবাদী পন্থা কেমন হতে পারে তা অন্বেষণ করা হচ্ছে।
কেস স্টাডিসমূহ: নারী সাংবাদিক কর্তৃক এবং নারী সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা হুমকির মোকাবেলায় সৃজনশীল সমাধান প্রদর্শন করে ব্রাজিল, চিলি, প্যারাগুয়ে, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলংকা 6টি দেশের কেস স্টাডি।
অন্তর্বিভাগীয় লিঙ্গ বিষয়ক নির্দেশিকা: সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কাজ করতে সুশীল সমাজের জন্য একটি ইন্টারসেকশনাল পদক্ষেপ নেবার ব্যবহারিক নির্দেশাবলী।
ব্যবহারবান্ধব অ্যাডভোকেসি টুলসমূহ: আমাদের #JournoSafe AdvoSheets দিয়ে আপনার অ্যাডভোকেসি প্রচেষ্টা সরলীকৃত করতে, সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উপর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত ক্যুইক রেফারেন্স নির্দেশিকার একটি সিরিজ।
#JournoSafe রিসোর্স হাব: একটি একক হাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার স্ট্যান্ডার্ড, গবেষণা, ম্যানুয়াল ও গাইডলাইন নিয়ে কাজ করা অ্যাডভোকেটদের একটি রিসোর্স।
সুপারিশমালা
ছবি: মূল ছবি © Shutterstock মারিয়ানা কোয়ান দ্বারা চিত্রিত